23 Nov 2024, 07:06 pm

তাকওয়া সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদীসে রসুল (সঃ) এর বাংলা অর্থ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মহান আল­াহ তা’আলা  বলেন- “হে মুমিনগণ! মহান আল­াহকে ভয় কর, যেভাবে তাকে ভয় করা উচিত।” (সূরা ঃ আলে ইমরান ঃ আয়াত ঃ ১০২)
মহান আল­াহ তা’আলা আরো বলেন- “তোমরা মহান আল­াহকে যথাসাধ্য ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।” (সূরা ঃ তাগাবুন ঃ আয়াত ঃ ১৫)
মহান আল­াহ তা’আলা  আরো বলেন-“হে মুমিনগণ! তোমরা মহান আল­াহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।”(সূরা ঃ আহযাব ঃ আয়াত ঃ৭০
মহান আল­াহ তা’আলা  আরো বলেন- “যে ব্যক্তি মহান আল­াহকে ভয় করে চলে মহান আল­াহ তা’আলা তার জন্য মুক্তির পথ বের করে দেন এবং যেখান থেকে সে ধারণাও করেনি সেখান হতে তিনি তাকে রিযিক প্রদান করেন।” (সূরা ঃ তালাক ঃ আয়াত ঃ ২-৩)
মহান আল­াহ তা’আলা পুনরায় বলেন- “যদি তোমরা মহান আল­াহকে ভয় করে চলতে থাক, তাহলে তিনি তোমাদেরকে ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্যকারী যোগ্যতা ও শক্তি দান করবেন। তোমাদের হতে তোমাদের গুনাহসমূহ দূর করে দিবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং মহান আল­াহ মহান মর্যাদার অধিকারী।” (সূরা আনফাল ঃ আয়াত ঃ ২৯)

১. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল­াহ সল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম ইরশাদ করেছেন- দুনিয়া অবশ্যই সুমিষ্ট ও আকর্যরীয়। মহান আল­াহ তা’আলা তোমাদেরকে দুনিয়ায় তার প্রতিনিধি করেছেন। যাতে তিনি দেখে নেন, তোমরা কেমন কাজ কর? কাজেই দুনিয়া হতে বাঁচ এবং নারীদের ফিতনা হতে বাঁচ। কারণ বনী ইসরাঈলদের প্রথম ফিতনা নারীদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। (মুসলিম)
২. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল­াহ সল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­ামকে জিজ্ঞেস করা হল, সবচেয়ে বেশি সম্মানী ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি যে সবার চেয়ে বেশি মহান আল­াহ ভীরু। সাহাবায়ে কেরাম  রাদিয়াল­াহু আনহু বললেন, আমরা আপনকে একথা জিজ্ঞেস করছি না। তিনি বললেন, তাহলে মহান আল­াহর নবী ইউসুফ (আঃ) , যার পিতা মহান আল­াহর নবী, তার পিতা মহান আল­াহর নবী এবং তার পিতা ইবরাহিম খলীলুল­াহ (আঃ)। সাহাবায়ে কেরাম  রাদিয়াল­াহু আনহুগণ বললেন, আমরা আপনাকে এটাও জিজ্ঞেস করছি না। তখন  রসুলুল­াহ সল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­াম বললেন, তাহলে তোমরা আরবের বিভিন্ন বংশের কথা জিজ্ঞেস করছ? জেনে রাখ! জাহিলিয়াতের জামানায় তাদের মধ্যে যারা ভাল ছিল তারাই ইসলামের জামানায়ও ভাল, যদি তারা বুদ্ধিমান ও সুক্ষজ্ঞানী হয়ে থাকে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আদি ইবনে হাতিম তাঈ রাদিয়াল­াহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল­াহ সল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­ামকে বলতে শুনেছি, যে লোক কোন কারণে কসম করার পর অধিকতর মহান আল­াহ ভীতির কোন কাজ দেখলো এ অবস্থায় তাকে সেটাই করতে হবে। (মুসলিম শরীফ)
৪. হযরত আবূ উমামা সুদাই ইবনে আজলান আল বাহিলী রাদিয়াল­াহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল­াহ সল­াল­াহু আলাইহি ওয়া সাল­ামকে বিদায় হজ্জে ভাষণ দিতে শুনেছি। তিন ইরশাদ করেছেন, তোমরা মহান আল­াহ তা’আলাকে ভয় করে চল এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর ও রমযানের রোযা পালন কর। আর নিজেদের মালের যাকাত দাও এবং নিজেদের শাসকবর্গের আনুগত্য কর। তাহলে তোমরা তোমাদের মহান আল­াহর বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিযী শরীফ)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 10038
  • Total Visits: 1280525
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২১শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সন্ধ্যা ৭:০৬

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018