মহান আলাহ তা’আলা বলেন- “হে মুমিনগণ! মহান আলাহকে ভয় কর, যেভাবে তাকে ভয় করা উচিত।” (সূরা ঃ আলে ইমরান ঃ আয়াত ঃ ১০২)
মহান আলাহ তা’আলা আরো বলেন- “তোমরা মহান আলাহকে যথাসাধ্য ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।” (সূরা ঃ তাগাবুন ঃ আয়াত ঃ ১৫)
মহান আলাহ তা’আলা আরো বলেন-“হে মুমিনগণ! তোমরা মহান আলাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।”(সূরা ঃ আহযাব ঃ আয়াত ঃ৭০
মহান আলাহ তা’আলা আরো বলেন- “যে ব্যক্তি মহান আলাহকে ভয় করে চলে মহান আলাহ তা’আলা তার জন্য মুক্তির পথ বের করে দেন এবং যেখান থেকে সে ধারণাও করেনি সেখান হতে তিনি তাকে রিযিক প্রদান করেন।” (সূরা ঃ তালাক ঃ আয়াত ঃ ২-৩)
মহান আলাহ তা’আলা পুনরায় বলেন- “যদি তোমরা মহান আলাহকে ভয় করে চলতে থাক, তাহলে তিনি তোমাদেরকে ভাল-মন্দের মধ্যে পার্থক্যকারী যোগ্যতা ও শক্তি দান করবেন। তোমাদের হতে তোমাদের গুনাহসমূহ দূর করে দিবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং মহান আলাহ মহান মর্যাদার অধিকারী।” (সূরা আনফাল ঃ আয়াত ঃ ২৯)
১. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম ইরশাদ করেছেন- দুনিয়া অবশ্যই সুমিষ্ট ও আকর্যরীয়। মহান আলাহ তা’আলা তোমাদেরকে দুনিয়ায় তার প্রতিনিধি করেছেন। যাতে তিনি দেখে নেন, তোমরা কেমন কাজ কর? কাজেই দুনিয়া হতে বাঁচ এবং নারীদের ফিতনা হতে বাঁচ। কারণ বনী ইসরাঈলদের প্রথম ফিতনা নারীদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। (মুসলিম)
২. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালামকে জিজ্ঞেস করা হল, সবচেয়ে বেশি সম্মানী ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি যে সবার চেয়ে বেশি মহান আলাহ ভীরু। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়ালাহু আনহু বললেন, আমরা আপনকে একথা জিজ্ঞেস করছি না। তিনি বললেন, তাহলে মহান আলাহর নবী ইউসুফ (আঃ) , যার পিতা মহান আলাহর নবী, তার পিতা মহান আলাহর নবী এবং তার পিতা ইবরাহিম খলীলুলাহ (আঃ)। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়ালাহু আনহুগণ বললেন, আমরা আপনাকে এটাও জিজ্ঞেস করছি না। তখন রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালাম বললেন, তাহলে তোমরা আরবের বিভিন্ন বংশের কথা জিজ্ঞেস করছ? জেনে রাখ! জাহিলিয়াতের জামানায় তাদের মধ্যে যারা ভাল ছিল তারাই ইসলামের জামানায়ও ভাল, যদি তারা বুদ্ধিমান ও সুক্ষজ্ঞানী হয়ে থাকে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৩. হযরত আদি ইবনে হাতিম তাঈ রাদিয়ালাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালামকে বলতে শুনেছি, যে লোক কোন কারণে কসম করার পর অধিকতর মহান আলাহ ভীতির কোন কাজ দেখলো এ অবস্থায় তাকে সেটাই করতে হবে। (মুসলিম শরীফ)
৪. হযরত আবূ উমামা সুদাই ইবনে আজলান আল বাহিলী রাদিয়ালাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুলাহ সলালাহু আলাইহি ওয়া সালামকে বিদায় হজ্জে ভাষণ দিতে শুনেছি। তিন ইরশাদ করেছেন, তোমরা মহান আলাহ তা’আলাকে ভয় করে চল এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় কর ও রমযানের রোযা পালন কর। আর নিজেদের মালের যাকাত দাও এবং নিজেদের শাসকবর্গের আনুগত্য কর। তাহলে তোমরা তোমাদের মহান আলাহর বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিযী শরীফ)
Leave a Reply